উদ্বোধনের দুই মাস না যেতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের দেয়ালের ব্রিকস টাইলস খসে পড়ছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রকৌশল দপ্তরকে জানিয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে ঘটনার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো সংস্কার করা হয় নি। প্রকৌশল দফতর জানিয়েছে, তারা বিষয়টি জানতে চেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সাইড ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি দিয়েছেন।
অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, বড় কাজ করলে ছোট-খাট কিছু ভুলত্রুটি হয়। সেই জায়গায় তারা আবারও টাইলসগুলো লাগিয়ে দিবেন।
ক্যাম্পাস ও প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সালে জুলাই মাসে কাজলা গেইট সংলগ্ন ১ দশমিক ৩ একর এলাকার ওপর শেখ রাসেল স্কুলে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর ১২ কোটি ১১ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্কুলের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
দেয়ালের টাইলস খসে পড়ার বিষয়টি অবগত জানিয়ে পরিকল্পনা দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী শাহরিয়ার খন্দকার বলেন, আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও তার স্থানীয় প্রতিনিধি এবং দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছি। কি কারণে এমনটা হয়েছে জানার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত এখনো দেওয়া হয় নি। সুতরাং এই কাজ তারা আবারও করে দিতে বাধ্য।
প্রসঙ্গত, এই ভবনের নির্মাণ কাজ করেছে ঢাকার মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড বিল্ডার্স। যার স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজের দেখভাল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলার বাসিন্দা মমতাজ উদ্দীন ডন। তিনি এই বিষয়ে বলেন, বড় কাজ করলে ছোট খাট কিছু ত্রুটি থাকবেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা কাজগুলো আবারও করে দিবো।
শেখ রাসেল স্কুল নির্মাণ কাজের দেখভালের দায়িত্ব ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মিনাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজটি দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছিল। অন্যদিকে প্রকৌশল দপ্তরে জনবলের সংকট রয়েছে। ফলে এক একজন প্রকৌশলীকে একাধিক সাইট দেখতে হয়। যার কারণে ওই স্থানে সারাদিন অবস্থান করা সম্ভব হয়নি। আমরা যখন ছিলাম না, তখন হয়তো ব্রিকস টাইলসের কিউরিং ভালোভাবে করে নি অথবা বালি সিমেন্টের অনুপাত ঠিক ছিলো না। যার কারণে পড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, প্রশাসন এবিষয়ে অবগত রয়েছে। আমি নিজেও পরিদর্শন করেছি। নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণেই টাইলসগুলো এভাবে খসে পড়েছে। আমরা প্রকৌশল দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছি নির্মাণ কাজের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে খসে পড়া টাইলসগুলো দ্রুত মেরামত করতে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর