প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজিকে স্মরণ করলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। শনিবার রাতে তাঁর স্মরণে ‘ইন মেমোরিয়াম স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল স্মরণসভার আয়োজন করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।
মানবজাতির অর্থনৈতিক মুক্তি, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় স্যার ফজলের অবদান ও জীবনের বিভিন্ন গল্প তুলে ধরেন তাঁর বন্ধু, দীর্ঘদিনের সহচর ও গুণমুগ্ধ অনুসারীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে স্যার ফজলের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন দেশ বিদেশের অসংখ্য মানুষ।
শনিবার, সন্ধ্যা সাতটায় স্যার ফজলের স্থিরচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হয় স্মরণসভা। এরপর তাঁর জীবন-দর্শন নিয়ে চিত্রকলা ও কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ভিডিওবার্তায় স্যার ফজলের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তাঁর বন্ধু, দীর্ঘদিনের সহকর্মীসহ একজন করে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে স্যার ফজলের অবদান প্রসঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে তিনি বিশ্বমানের একটি প্রতিষ্ঠান ও সৃজনশীল জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। চেয়েছিলেন এটি দক্ষিণ এশিয়ার হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠবে। স্যার ফজলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে বিশ্বমানের গর্বিত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
স্যার ফজলের জীবন ও অর্জন নিয়ে ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাস্টারকার্ড ফাউন্ডেশনের সিইও রিতা রায়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেনারেল এডুকেশন অনুষদের ডিন ড. সামিয়া হক, হাভার্ড টি.এইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের সিনিয়র লেকচারার ড. রিচার্ড ক্যাশ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এর ভিজিটিং প্রফেসর ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ