ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ২০২০-২০২১ সেশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি তাদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এল্যামনাই এসোসিয়েশন ফ্লোরে ‘করোনা-উত্তর গণমাধ্যমের গতিপথ’ শীর্ষক সেমিনার শেষে বিদায়ী কমিটি নতুন কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপ ড. নিজামুল হক ভুইঁয়া, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমদ, এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন নবনির্বাচিত সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবিরসহ কার্যকরী কমিটির হাতে দায়িত্বভার তুলে দেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা একই সাথে শিক্ষার্থী ও পেশাদারিত্বের দিক থেকে সাংবাদিকতায় জড়িত থাকে। পরবর্তী সময়ে যখন তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করে, প্রথিতযশা সাংবাদিকদের থেকে তাদের প্রশংসা শুনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে সেটি আমাকে খুবই আনন্দিত করে।
করোনার এই সময়ে সাংবাদিকরা ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই দুঃসময়ে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে, অসঙ্গতি তুলে ধরে সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করেছে। কখনও কখনও এগুলো কারো স্বার্থপরিপন্থী হতে পারে, কিন্তু মানবিকতা বিকাশে সেগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি উন্নয়নের চেয়ে সমাজের বৃহত্তর উন্নয়ন কাম্য, প্রত্যাশিত।
বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার জন্য আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর-এসওপি প্রয়োজন। অর্থাৎ এর জন্য আমাদের কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তার রুপরেখা তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, দক্ষ গ্র্যাজুয়েট কীভাবে তৈরি করা যায়, সেই ধারণাপত্র আমরা তৈরি করেছি। এটি হয়তো আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে উঠাবো।
‘করোনা-উত্তর গণমাধ্যমের গতিপথ’ শীর্ষক প্রবন্ধে আইনুল ইসলাম বলেন, একদিকে তথ্যের মহামারী, অন্যদিকে স্বাস্থ্যের অতিমারী, পাশাপাশি গণমাধ্যম মোকাবেলা করছে ‘অস্তিত্বের সংকট’। এই ত্রিমূখী সংকট মোকাবেলায় করোনা-উত্তর আগামী দিনে গণমাধ্যমের গতিপথ বিশ্লেষণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতায় জ্ঞানের বিশেষায়ণের অভাব হলে যে কোনো দুর্যোগ কিংবা মহামারীতে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। করোনা মহামারীতে তথ্য প্রবাহের বিকৃতি কিংবা অপতথ্যের যেসব নজির তৈরি হয়েছে, তা মোকাবেলায় জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্য সাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নাই।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন