বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতেও বলা হয়েছে। ইউজিসির অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ভিসির বিরুদ্ধে। এর আগে গত ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৭৩৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ১৮ মাস ধরে নানা অজুহাতে দখলে রাখেন বলে উল্লেখ করা হয়। উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া বাবদ ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয় সেই তদন্ত প্রতিবেদনে।
এদিকে, গত ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলীমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই বাড়ি ভাড়া বাবদ ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
পত্রে বলা হয়, ‘(রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক নিয়ম বহির্ভূতভাবে দখলে রাখা ডুপ্লেক্স বাড়ির ভাড়া জমা প্রদান প্রসঙ্গ)। উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান কর্তৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডুপ্লেক্স বাড়িটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে দখলে রাখায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
উক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানপূর্বক চালানের কপি জরুরি ভিত্তিতে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ পত্রের কপি ইউজিসি চেয়ারম্যান ছাড়াও মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
