চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র তাপস সরকার। ৬ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো মামলা তদন্তের কোন অগ্রগতি নেই। বিচারের অপেক্ষায় নিহত তাপস সরকারের পরিবার।
এখনো ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন মা। এদিকে, প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চার্জশিটভুক্ত আসামি। এতে হতাশ হয়েছেন তাপস সরকারের পরিবার ও মামলার বাদী হাফিজুল ইসলাম।
ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাপসের ছোট ভাই প্রাবণ সরকার। তিনি বলেন, আমার ভাই খুন হয়েছেন ছয় বছর। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কোনও বিচার হয়নি। দীর্ঘদিন মামলাটি প্রস্থবির হয়ে পড়ে আছে। ভাইয়ের শোকে আমার মা পাগলের মতো হয়ে আছেন। প্রতিদিন ভাইয়ের জন্য কান্না করেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের সংঘটিত হওয়ার পর একে একে কেটে গেছে ছয় বছর। কিন্তু এখনও বিচার পায়নি তাপসের পরিবার। তিন বছর আগে তদন্ত কর্মকর্তা ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর এখনো থমকে আছে এই মামলার বিচার কাজ। ১৪ ডিসেম্বর তাপস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর তার সহপাঠী হাফিজুল ইসলাম হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ২ মে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে আসামি করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন