জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা।
পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা ভবন সংলগ্ন মুরাদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় সমাবেশে বক্তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার নিশ্চিত করা ও আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় মদদের অভিযোগে তার অপসারণ দাবি করেন।
আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা উপাচার্য নষ্ট করেছেন। তিনি হল খোলার বিষয়ে সরকারের কাছে অনুমতি চান। একইভাবে তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা সে ব্যাপারেও সরকারের সাথে কথা বলেন। অর্থাৎ তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থদের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন নষ্ট করছেন। অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে আর পদে দেখতে চাই না। তাকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে মহাপরিকল্পনার কাজ যেন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয় এ দাবিতেই আমরা আন্দোলন শুরু করি। এখন দেখা যাচ্ছে, কেমন অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মহাপরিকল্পনার কাজ চলছে। উপাচার্য স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার চেষ্টা করছেন। সুদূরপ্রসারী এবং পরিকল্পিত উন্নয়নের দাবিতেই আমরা রাস্তায় নেমেছি। অথচ উপাচার্যের মদদে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সুতরাং এই উপাচার্য তার পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য রাকিবুল হক রনি, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ওয়াসিম সাজ্জাদ, ছাত্র ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক রেবেকা আহমেদ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন