চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস) ২৩ বর্ষ পেরিয়ে দুই যুগে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে চাকসু ভবনের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা এবং দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।
কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতারসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান।
‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা : সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক এ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এমএ শফিউল আলম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এএফএম আওরঙ্গজেব, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শংকর লাল সাহা, চবি প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ্ আল ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরী।
প্রধান অতিথি চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার বলেন, ‘সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা সত্য প্রকাশে কুণ্ঠাবোধ করেন না। সত্য প্রকাশ সাংবাদিকদেরই করতে হবে। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। সবার কল্যাণের জন্য সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে। তবে সংবাদ পরিবেশনের আগে যাচাই করা উচিৎ।’
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ বলেন, ‘আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেটা আমরা কাজে লাগাচ্ছি না। দক্ষতার অভাব রয়েছে বলেই আজ পাবলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চেয়ে চাকরিতে পিছিয়ে পড়ছে। আমাদের সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।’
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান বলেন, ‘ছাত্রদের জন্য গবেষণার বাজেট প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই বাজেট করতে পারে। তাহলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা এবং দায়বদ্ধতা বাড়বে। গবেষণার মান রক্ষা করতে হলে অনুষদভিত্তিক প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক