রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। মোমবাতি প্রজ্জ্বালন, শপথ গ্রহণ ও চার দিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচির পর আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের কাছে গণস্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি দেয় তারা।
স্মারকলিপি গ্রহণের সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন কী সবাই চায়? চায় না। কারণ অনেক অছাত্র বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনে নেতৃত্বে আছে, যারা রাকসু নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা রাকসু নির্বাচন চায় না। তবে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেই হোক, মহামান্য রাষ্ট্রপতি হোক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হোক, তারা মনে করছেন রাকসু নির্বাচন হোক। আর এটা নির্ভর করছে তোমাদের ওপর।’
তবে কবে নাগাদ নির্বাচন হবে সেটি জানাতে পারেননি উপ-উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘দিনক্ষণ আমি বলতে পারছি না। এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে মাননীয় উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনিও বলেছেন, আমরা এক সময় রাকসু নির্বাচন দেব। কবে তিনি সেটা নির্দিষ্ট করে বলেননি। এতদিন ঘুমিয়ে ছিল ব্যাপারটা। এখন ছাত্ররা নির্বাচন চাইছে। ন্যাশনাল ইলেকশনের পরে হয়তো এই নির্বাচনটা হবে। এটা আমার অনুমান।’
এরপর উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, এক সময় বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা বিশ্রী অবস্থায় ছিল যে আমরাও মনে করতাম যে রাকসু নির্বাচন, রাজনীতি এসবের দরকার নাই। আমি সিম্পলি বলি, এটা পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত হতে হবে। এখন যারা ক্ষমতায় আছে তাদের একটা ইশারাও প্রয়োজন। রাকসু নির্বাচন নিয়ে এখনও তাদের সেভাবে পজিটিভ ভাবনা শুরু হয়নি।’
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাহমুদ সাকী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সজীব কুমার, মিজানুর রহমান মিজান, গণিত বিভাগের হাবিবুর রহমান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. শরীফ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার