রাজধানীর ইন্দিরা রোডের একটি প্রেসের কর্মচারী খান বাহাদুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন বলে জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
এর আগে, ঢাবির প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত সন্দেহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই ছাত্র ও রাজধানীর ইন্দিরা রোডের একটি প্রেসের কর্মচারীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রাজধানীর ইন্দিরা রোডের ওই প্রেস থেকে ছাপা হতো ঢাবির প্রশ্নপত্র।
পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত চারদিনে ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন কারাগারে, তিনজন রিমান্ডে এবং দুজন গ্রেফতার আছেন।
মোল্লা নজরুল বলেন, সবশেষ বুধবার জামালপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাইফুল ইসলামকে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় খান বাহাদুরকে। তিনি এই প্রেসের কর্মচারী। যার মাধ্যমে মূলত প্রশ্ন ফাঁসের সূত্রপাত।
তিনি আরো জানান, খান বাহাদুররে সঙ্গে পরিচয় ছিল সাইফুল ইসলামের। সাইফুলের সঙ্গে পরিচয় ছিল রকিবুল হাসান নামের আরেকজনের। মূলত এই তিনজনের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিভিন্ন জায়গায় ছড়ায়। এই তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেফতারদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। আর চলতি বছর এই পরীক্ষা নিয়ে ডিজিটাল জালিয়াতি করা হয়েছে।
এই সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ থেকে ৭ লাখ টাকার লেনদেন হতো।
বিডি প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম