জঙ্গিবাদ উত্থান রোধে, সত্যিকারের দেশ প্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে(জবি) ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ সকল বিভাগে পাঠদান আবশ্যিক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪০-তম সভায় এবং ৭৪-তম সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের কারিকুলামে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এতে সর্বনিম্ন ৩ ক্রেডিটের ১০০ নম্বরের কোর্সে বিষয়টি পাঠদান করা হবে। আজ জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের উদ্যোগে উপাচার্যের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ইতিহাস বিকৃতিরোধে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এজন্য আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি যাতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও এ বিষয়ে পাঠদানে উদ্বুদ্ধ হয়। ইতিহাস চর্চা শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল। ৫২’, ৬৯’, ৭১’-এর বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক আন্দোলনের ইতিহাসকে মুছে ফেলার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা সক্রিয়। কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না।
এসময় মুক্তিযুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান নিয়ে কেউ গবেষণা করলে তাকে এক লক্ষ টাকা দেয়ার কথা জানান।
জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, ও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বক্তব্য প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার