শিক্ষা সমাপনী উৎসবের (র্যাগ উৎসব) প্রস্তুতি নিচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে র্যাগ উৎসব উদযাপন কমিটি ও নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ব্যাচটির রাজা-রানী নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই ব্যাতিক্রম। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ব্যাচই স্নাতকত্তোর ডিগ্রি শেষে এই র্যাগ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। এ উৎসবের মাধ্যমেই আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে আরও একবার ক্যাম্পাসবাসীকে জানান দিয়ে বিদায় নেয় ব্যাচটি। এ উৎসব উপলক্ষে ব্যাচের মধ্য থেকেই নির্বাচিত হয় রাজা ও রানী। এরপর সেই রাজা-রানীকে ঘিড়েই চলে নানান কর্মকাণ্ড। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচ র্যাগ উৎসবের আয়োজন করছে। উৎসবটি নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্যাচটি। এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে র্যাগ কমিটি, নির্বাচন কমিশন। ঘোষণা করা হয়েছে রাজা-রানী নির্বাচনের তফসিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় জাকসু ভবনে তফসিল ঘোষণা করেন র্যাগ উৎসব উদযাপন কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শাওন জোয়ার্দ্দার। ১৭ ডিসেম্বর জাকসু ভবনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজা-রানী দুটি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পদের জন্যে মনোনায়নপত্র বিতরণ করা হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের মনোনায়নপত্রের মূল্য ধার্য করা হয়েছে বিশ হাজার টাকা। এছাড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। মনোনায়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা এবং একই দিনে প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টা এবং একই দিনে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটগ্রহণের সময় ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এবং একই দিনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে র্যাগ উৎসবের প্রস্তুতিকে ঘিরে জমে উঠেছে জাকসু ভবন। দিনভর চলে আড্ডা আর আলোচনা। ভবনের দেওয়ালে শোভা পেয়েছে র্যাগ লোগো। এ ব্যাপারে র্যাগ উৎসব উদযাপন কমিটির কোষাধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ ওলি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ ও ২ জানুয়ারী ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসব আয়োজন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছেন এবং আগামীতেও করবেন বলে আশা করি।